২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪ ) জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসি। আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এনইসির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল এডিপির পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ১১ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিও সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মূল এডিপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ এবং অনুদান থেকে আসবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এডিপির মধ্যে ১০ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়ন এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৭৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়নের পরিকল্পনা ছিল ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত এডিপির আকার কমিয়ে ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অর্থায়নও সংশোধন করে ৮ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
নতুন এডিপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে, যার পরিমাণ ৭৫ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। এ বরাদ্দ এডিপির প্রায় ২৯ শতাংশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং শিক্ষা খাতে, যার পরিমাণ যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা এবং ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। একক প্রকল্প হিসেবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে, ৯ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। এর আগে বাজেট ব্যয়ের অন্যতম অংশ এডিপি অনুমোদন দেওয়া হলো। সরকারের মোট বাজেট ব্যয়ের মধ্যে পরিচালন এবং উন্নয়ন ব্যয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।